নিউজ ডেস্কঃ
অগ্নিকাণ্ড ও যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় যোগ্য সিভিল ডিফেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ‘ফায়ার সেফটি চ্যালেঞ্জস অ্যান্ড মিটিগেশন স্ট্র্যাটেজিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা সবাই বাসযোগ্য ও স্মার্ট ঢাকা গড়তে চাই। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে এই পরিকল্পনা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রিন ঢাকা বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতসহ জনগণের অংশগ্রহণ চান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে খাল, তীর, নদী ও পুকুর দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার আরও কঠোর হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

অগ্নিকাণ্ড ও যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষ ফায়ার ফাইটার ও স্বেচ্ছাসেবক তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফায়ার একাডেমি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। যেখানে অবকাঠামো নির্মাণের কাজও চলছে। এছাড়া সিভিল ডিফেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিবছর প্রাণহানির পাশাপাশি রাষ্ট্রের অনেক সম্পদ বিনষ্ট হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্ষতি কমানো যেতে পারে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পে সম্মতি বাস্তবায়নের জন্য এফবিসিসিআই নিরাপত্তা পরিষদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। যার অধীনে প্রায় ১২০০ টি শিল্প কারখানা এবং ১৭২ টি গার্মেন্টস বিহীন মার্কেট পরিদর্শন করা হয় এবং শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়; অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ৪৬০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ; ১৪০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং ৪ টি বিভাগীয় চেম্বার এবং ১২ টি অ্যাসোসিয়েশন সেফটি সেল স্থাপন করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যবহৃত অগ্নিনির্বাপক ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের শতভাগই আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে মানসম্পন্ন অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন এফবিসিসিআই পরিচালক ও আইএসএবি সভাপতি। নিয়াজ আলী চিশতী।

এফবিসিসিআই প্যানেলের উপদেষ্টা স্থপতি ইকবাল হাবিব অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে শিল্পাঞ্চলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরামর্শ দেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে মফস্বলের পাশাপাশি নগরীর নির্মাণ বিধি কঠোরভাবে অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। রাজধানীতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি আবাসিক নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান ও আইনের যথাযথ প্রয়োগে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। . এবং বাণিজ্যিক ভবন, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং নগরায়ন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ জিল্লুর রহমান। এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মোঃ মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোঃ শহীদুল্লাহ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ। . সাধারণ পরিষদ এবং ব্যবসায়ী নেতারা।

এমএমএইচ