1. admin@dainikprothomnews.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
সাতক্ষীরায় কোন আম কবে পাড়া যাবে, জানালো জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এসএসসি ২০০৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত আজ থেকে ব্যাংক-বীমা-অফিস-আদালত খুলছে ইরানের দাবি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্র, লুকাতে চাচ্ছে ইসরায়েল মুস্তাফিজের জন্য খারাপ দিন, পাথিরানায় মুম্বাই ফোর্টে চেন্নাইয়ের জয় মোবাইলে আর্থিক সেবা ২২ কোটি গ্রাহক, লেনদেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা অসহায় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা: সাঈদ খোকন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

বরিশালে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন ইমাম, শিক্ষক ও ছাত্রসহ আটক ৩

প্রথম নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৩১ জন দেখেছে
ছবি-সংগ্রহীত

বরিশালে বন্ধুর হবু স্ত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম, মাদরাসার শিক্ষক ও এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আসামিদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মামলা গ্রহণ করে রোববার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়।

আটককৃত আসামিরা হলেন, বরিশাল নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কের জামিয়া কাসিমিয়া মাদরাসার শিক্ষক আবিদ হাসান ওরফে রাজু, বাবুগঞ্জ উপজেলার গাঙ্গুলি বাড়ি মোড় এলাকার বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম আবু সাইম হাওলাদার এবং সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ছাত্র হৃদয় ফকির।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামি তিনজন বর্তমানে তিন এলাকার বাসিন্দা হলেও তারা আগে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তারা।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি এয়ারপোর্ট থানার পাংশা এলাকার একটি দাখিল মাদরাসা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেন। তার সঙ্গে একই এলাকার মাহফুজুর রহমান সায়মনের প্রেমের সর্ম্পক আছে এবং পারিবারিকভাবে তাদের দু’জনের বিয়ের কথাও ঠিক হয়। বিষয়টি সায়মনের বন্ধু আবিদ হাসান, সাইম হাওলাদার ও হৃদয় ফকির জানতেন।

চলতি বছরের ২০ আগস্ট রাতে হৃদয় ফকির বাদীর মোবাইলে কল করে জানান, সায়মনের অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে বিষয়টি জানতে চান তিনি। তখন সায়মনের বন্ধুরা তাকে জানান, ২৭ আগস্ট হৃদয় ফকিরের ভাড়া বাসায় সায়মন অন্য একটি মেয়ে নিয়ে যাবেন। হাতেনাতে ধরার জন্য বাদীকে সেই বাসায় যেতে বলেন তারা। সেদিন সকাল ১০টার দিকে হৃদয়ের বাসায় যান বাদী। কিন্তু সায়মন বা কোনো মেয়েকে পাননি তিনি। ফিরে আসতে চাইলে তাকে আটকে রেখে হৃদয় ফকিরসহ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তারা ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণও করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন, ফলে ভয়ে কোথাও চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যান বাদী। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাদীকে আবারও আসামিরা দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা নিজেরাই তাদের ধর্ষণের ভিডিও সায়সমনের বাবাকে দেখান, যাতে তিনি বাদীকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ না করেন!

সংবাদ টি শেয়ার করে সহযোগীতা করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021-2024 দৈনিক প্রথম নিউজ
প্রযুক্তি সহায়তায় রি হোস্ট বিডি