নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রতিশ্রুতি কেউ দেয়নি। কোনো কাজ হয়নি। ভোটকেন্দ্রে প্রত্যাশিত ভোটার উপস্থিতি ছিল না।

শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে সুপ্রিম পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী এসব কথা বলেন। আগামী দুই বছরকে দলের সাংগঠনিক বছর ঘোষণা করে তিনি বলেন, স্থায়ী পরিষদের বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা কখনো কারো সাথে কথা বলি না! সেজন্য আমরা কেউ আমাদের ছাড় দেবে বলে আশা করি না। তবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা চাই আওয়ামী লীগ দেশের জন্য ভালো কাজ করুক। কিন্তু দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ায় দেশের মাটি ও মানুষের সুন্দর পরিবর্তন আনতে আমরা রাজনীতিতে আসি। এই যেখানে আমরা হতে হবে. আমরা এদেশ থেকে পালাতে পারব না, তাই জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে; দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও সব ধরনের অব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কালো টাকার রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হতাশ হবেন না! নির্বাচন কি বোঝা হয়ে গেছে? একটি অদৃশ্য শক্তি কাকদণ্ডকে সরিয়ে দেয়। রাজনীতিতে পরিবর্তনের জন্য এসেছেন; তাই সতর্কতা অবলম্বন করা. আমরা আমাদের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক পরীক্ষা দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা নির্বাচন নিয়ে এগোতে চাই না; ধীরগতির অগ্রগতি টেকসই নয়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে এ নির্বাচনের পথে হাঁটতে হবে। আমরা কি উপজেলা নির্বাচনে যাব না? এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। আমরাও বিশ্বাস করি, বড় দলগুলো বারবার নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিয়েছে। ফলে তারা এখন একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করতেও এই দলগুলোর ভূমিকা রয়েছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ সরকার, স্থায়ী পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব একে নাহিদ, প্রকাশনা সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহি প্রমুখ। আসাদুজ্জামান, বাবু নিতাই চন্দ্র, মাওলানা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারিছ মিয়া, আফরিনা পারভীন, মীরানা জাফরিন চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন মিয়া, অহিদুর রহমান, মোহাম্মদ জামাল সরকার, মোহাম্মদ তবারক হোসেন সোহেল, আব্দুল ওদুদ বাদশা প্রমুখ।

এমএমএইচ